হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া অসম্ভব নয় বলে মনে করে ইরান। রাষ্ট্র পরিচালিত নিউজ সাইট আইএসএনএতে ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাদি বলেন, ফিলিস্তিনপন্থী দেশগুলো একত্রিত হয়ে গাজায় যুদ্ধাপরাধের দায়ে নেতানিয়াহু ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে।
গত মাসে হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ইসরায়েল আদালতের এখতিয়ার প্রত্যাখ্যান করেছে এবং যুদ্ধাপরাধ করার কথা অস্বীকার করেছে।
কাজেম ঘারিবাদি যুক্তি দিয়েছেন, আইসিসি এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত - পৃথক বিচারিক সংস্থা বর্তমানে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা তদন্ত করছে।
এ ধরনের আদালত সম্ভবত মৃত্যুদণ্ড দেবে না উল্লেখ করে ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারণ এটি জাতিসংঘের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি বলেন, তবে নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া অসম্ভব নয়। একাধিক দেশ মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে, কিন্তু এখনো ৫৫টিরও বেশি দেশ রয়েছে, যাদের আইনে এই ধরনের শাস্তি রয়েছে।
তিনি মনে করেন, ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থন করে এবং (ইসরায়েলি) অপরাধের বিরোধিতা করে, এমন দুই বা তিনটি সমমনা দেশ একত্রিত হতে পারে। তারা একটি যৌথ আদালত গঠন করতে পারে এবং এই কর্মকর্তাদের জন্য মৃত্যুদণ্ড জারি করতে পারে। ঘারিবাদি বলেন, আমাদের চেষ্টা করা উচিত, এটা সম্ভব কি না।
গত মাসে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী দাবি করেন, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্য।
ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক তাণ্ডব শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত বেশিরভাগই নারী ও শিশু। অনেক সংস্থা মনে করে, মৃতের এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। জাতিসংঘ বারবার গাজায় মানবিক বিপর্যয় সম্পর্কে সতর্ক করেছে এবং ত্রাণ সরবরাহে বাধা না দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সম্প্রতি ১৪০ কোটি সদস্যের ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ ফ্রান্সিসও বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যা কি না, তা বিশ্ব সম্প্রদায়ের তদন্ত করে দেখা উচিত। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ও সংস্থাও বলেছে, গাজায় যা ঘটছে তার মধ্যে গণহত্যার বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
আপনার কমেন্ট